কোটচাঁদপুর (ঝিনাইদহ) রাম জোয়াদারঃ ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে খাল-বিল, জলাশয় হাওড়-বাঁওড় থেকে পরিচিত হরেক রকমের দেশীয় প্রজাতির মিষ্টি পানির ছোট -মাছ বিলুপ্ত হতে চলেছে।
কোটচাঁদপুর উপজেলার মুক্ত জলাশয়ে দেশীয় প্রজাতির মাছ পাওয়া এখন দুস্কর , উপজেলার জলাশয় থেকে পুটি,মায়া,খযরা,সরপুটি, ডানকুনো, পাবদা, লালচান্দা, খলসে, ঝিয়া, টাকি, শিং, মাগুর, ভেদা, টেংরা, বোয়াল, বাইন, ফলই, চিংড়ি, মাছ সহ (প্রায়) ৩০ থেকে ৪০ প্রজাতির ছোট মাছ বিলুপ্ত হতে চলছে। অঞ্চলের এখন এসব মাছের দেখা মেলেনা, মাছ সংরক্ষনের অভাবে দেশীয় প্রজাতির সুস্বাদু মাছের বংশ বৃদ্ধির হার আশস্কাজনক ভাবে কমে গেছে।
উপজেলার স্বাস্থ্য কমকর্তা ডাঃ আব্দুর রশিদ জানান, মানুষের শরীরের আমিষের শতকরা ৭৫/৮০ ভাগ আসে দেশীয় প্রজাতির ছোট মাছ থেকে ,তাছাড়া ভিটামিন এ, ক্যালসিয়াম ও আয়রন সহ মানুষের শারীরিক ও মানসিক গঠনের সব চেয়ে ভালো উপাদান পাওয়া যায় ছোটমাছ থেকে এছাড়া রাতকানা, স্মরন শক্তি দুবলতা কমতে পুষিটর উৎস হিসাবে ছোট মাছের গুরুত্ব রয়েছে। কথা হয় ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর হালদার পাড়ার গোপাল হালদারের সাথে তিনি বলেন ,ক,বছর আগে ও দেশীয় প্রজাতির মাছের অভাব ছিলনা,খাল, বিল, নদ-নদীতে দেশীয় মাছের পরিমান এত ছিল যে, পানি থাকলেই সেখানে মাছ পাওয়া যেত ,মাছের প্রতুলতার কারনে বলা কঠিন, গ্রামাঞ্চলে জেলেরা সহ মানুষের অধিকাংশ এসব জলাশয়ে জাল, পাতন জাল, তোড়াজাল,ঠেলাজাল, ঘুনি, হাতজাল, দিয়ে এসব মাছ ধরেই সংসার চালাতেন।
উপজেলা মৎস্য কমকর্তা সঞ্জয় কুমার জানান, উজানে বাধ নির্মান, নদ-নদী, খাল-বিলের নাব্যতা হ্রাস, সংশ্নিষ্ট হাওড় -বাঁওড়ের গভীরতা কমে যাওয়া, ভরাট করা, মা-মাছের আবাসস্থল খাল- বিলে পানি না থাকা বিভিন্ন ধরনের বিদেশী মাছের চাষের কারনে ও প্রাকৃতিক বৈরী আচরন ইত্যাদি কারনে দেশীয় প্রজাতির মাছ বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।